Home / Articles
বাংলা কথাসাহিত্যে নারী ব্যক্তিত্ত্বের ক্রমজাগরণ |
![]() |
Author Name সওকত আলি সা, গবেষক, ডক্টর তনুশ্রী ঘোষ, সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, সি. এম. জে. বিশ্ববিদ্যালয় Abstract বাংলা গদ্যের আবির্ভাবের পর একে একে আসে বাংলা নাটক ও উপন্যাস। মূলত পাশ্চাত্য ও সংস্কৃত নাট্যধারার অনুসরণ করে বাংলা নাটকের যে ধারা সূচিত হয়েছিল, তাতে নারীকেন্দ্রিক আন্দোলনগুলির একটা বড়ো প্রভাব পড়েছিল। উপন্যাসেরও একটি প্রধান গুণ বাস্তবতা। সমাজ ও পরিপার্শ্বকে বাদ দিয়ে তা রচিত হওয়া সম্ভব নয়। তাই উনিশ শতকের সমাজ সংস্কার আন্দোলনগুলির প্রভাব বাংলা উপন্যাসেও দেখা গিয়েছিল। প্রথম সার্থক বাংলা ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কেই বলা হয়। তার হাতে বাংলা উপন্যাস প্রথম শিল্প সার্থকতায় সিদ্ধি লাভ করে। সমগ্র উনিশ শতকে তাই বাংলা উপন্যাসের প্রতিনিধিত্ব করছেন বঙ্কিমচন্দ্র। এ সম্পর্কে মনীষী রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী তাঁর 'চরিতকথা' গ্রন্থের অন্তর্গত ‘বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়' শীর্ষক প্রবন্ধে মন্তব্য করেছেন - 'বঙ্কিমবাবুর পূর্বেও অনেকে বাংলা নবেল লিখিয়াছিলেন, তাহাতে কিসের যেন অভাব ছিল। বঙ্কিমচন্দ্র নবেল লিখিলেন, আর একদিনেই বাঙলায় সাহিত্যের একটা নূতন শাখার সৃষ্টি হইল।”, বঙ্কিম সমসাময়িককালে আরও অনেক লেখক ই উপন্যাস রচনা করেছেন। তাদের অধিকাংশই হয়েতো বঙ্কিমচন্দ্রের অসাধারণ সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে এ কাজে হাত দিয়েছিলেন। তবু একথা অনস্বীকার্য যে উনিশ শতকের অন্যান্য গৌণ ঔপনাসিকদের রচনা বঙ্কিমের মতো সমুন্নতি লাভ করেনি। এই বঙ্কিম সমসাময়িক অন্যান্য ঔপন্যাসিকদের কিছু কিছু উপন্যাসে সরাসরি উনিশ শতকীয় নারীকেন্দ্রিক আন্দোলনগুলির প্রভাব খুব স্পষ্টভাবে অনুভব করা যায়। কোথাও কোথাও লেখক স্বয়ং এই উদ্দেশ্যমূলকতা স্বীকার করেছেন উপন্যাসের সূচনায়। এই ধরনের আন্দোলনের প্রত্যক্ষ প্রভাব চিহ্নিত বাংলা উপন্যাসে নারীকে কেন্দ্র করেই উদ্দেশমূলক বক্তবা প্রকাশিত হয়েছে। Published On : 2021-12-31 Article Download : ![]() |